দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর হাটগুলোতে। আর আগামী ৬ জুলাই থেকে শুরু হবে বিক্রি কার্যক্রম। যে কোনো ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে হাটে থাকবে সিটি কর্পোরেশনের মনিটরিং সেল।

শনিবার (২ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট, আমুলিয়া, আফতাবনগর, উত্তরা ১৭ নম্বরসহ সবগুলো হাট সাজানো হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে পশু রাখার খুঁটি অস্থায়ী শেড।

বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা ট্রাকভর্তি পশু আনছেন হাটগুলোতে। বন্যার কারণে আগেভাগেই পশু নিয়ে এসেছেন অনেক ব্যাপারিরা। রংপুরের গরুর ব্যাপারি জলিল বলেন, ১০টি গরু এনেছি।

রাস্তায় গরুগুলো কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আসে। আগে এসেছি ভালো জায়গায় গরু নিয়ে বিক্রির জন্য দাঁড়াবো। এখনই বিক্রি হবে না, কদিন সময় লাগবে হয়ত। এ বছর রাজধানীতে মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

হাটগুলোর মধ্যে ২টি স্থায়ী হাট, যেগুলোতে বছরের অন্য সময়ও পশু বিক্রি হয়। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রয়েছে গাবতলী স্থায়ী হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রয়েছে সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাট। এই হাট দুটি ছাড়া আরও ১৭টি অস্থায়ী হাট রাজধানীতে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে ১০টি ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে ৭টি হাট। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল হাট চালু থাকবে।